চউক কর্তৃক গৃহিত /বাস্তবায়িত/ বাস্তবায়নাধীন খাত ভিত্তিক বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনার সার-সংক্ষেপঃ
সড়ক উন্নয়ন ও যানজট নিরসন:
ক্রমবর্ধমান যানজট নিরসনের জন্য প্রাইমারী সেকেন্ডারী, টারশিয়ারী রোড নির্মাণ যেমন সিডিএ এভিনিউ, চিটাগং আউটার রিং রোড, সদরঘাট -ফিরিঙ্গিবাজার রোড, নবাব সিরাজদ্দৌল্লা রোড ইত্যাদি।
আবাসন সমস্যা নিরসন:
চউক চট্টগ্রামের আবাসন সমস্যা নিরসনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, ইতোমধ্যে ৭০০০ এর অধিক প্লট বিভিন্ন পেশা/শ্রেণীর জনগণের মাঝে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এ সকল আবাসিক এলাকায় উন্মুক্ত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যেমন এপোলো হসপিটাল, দিল্লী পাবলিক স্কুল ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানকে তাদের কার্যক্রম শুরু করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়াও আবাসিক সমস্যা নিরসন এবং ব্যবসা-বানিজ্যের প্রসারনের জন্য চউক ইতোমধ্যে বেশ কিছু গরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে যেমন: বিশতলা বিশিষ্ট আবাসিক কাম বানিজ্যিক ভবন নির্মাণ (কাজিরদেউরী কাচা বাজার এলাকা), ইএগঊঅ ও ঈউঅ এর যৌথ উদ্যোগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ডরমেটরী নির্মাণ এবং স্বল্প আয়ের জনসাধারণের জন্য ২৫, ২২, ২০ তলা বিশিষ্ট তিনটি (প্রায় ১৯৬ টি ফ্ল্যাট) আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
বানিজ্যিক ও শিল্প এলাকার উন্নয়ন:
বানিজ্যিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য চউক ইতোমধ্যে বেশ কিছু বানিজ্যিক শিল্প এলাকার উন্নয়ন সাধন করেছে। যেমন, পাঠানটুলী মার্কেট, কর্ণফুলী মার্কেট, নিউমার্কেট, ষোলশহর মার্কেট, কালুরঘাট শিল্প এলাকা, ফৌজদারহাট শিল্প এলাকা, ইত্যাদি।
পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন:
চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন শিল্পের বিকাশ সাধনে চউক ইতোমধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যেমন- বাটার ফ্লাই পার্ক, নান্দনিক ডিসি হিল পার্ক, সি আর বি ল্যান্ডস্কেপ উন্নয়ন।
অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অংশীদারী ভিত্তিক চউক পরিকল্পনাঃ
অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জাতিসংঘের গউএ বাস্তবায়নকল্পে চউক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্ত-বায়নের মাধ্যমে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী চউক নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপাশি সরকারী অর্থায়ন, চচচ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (যেমন- জাইকা) ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।